হলিউড ও বাংলা সিনেমাঃ একটি তুলনামূলক পাঠ.

Article hero image

খুব সিরিয়াস একটি আলোচনা। গোটা লেখায় মোট এগারোবার ‘প্রেক্ষিত’ শব্দটা রয়েছে, সুতরাং সিরিয়াস হতেই হবে। অর্থাৎ কিনা গুরুতর মার্ক্সীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রভৃতি। একখানা প্রেক্ষিত এইসব বাঁদরামো করতেই খরচ হয়ে গেল (আরেকটা গেল এখানে)। এইপ্রকার ছ্যাবলামি ভবিষ্যতে চলবে না, আমি প্রবন্ধকার হিসেবে আপনাদের কথা দিচ্ছি পরবর্তী প্রেক্ষিতগুলি অতিশয় সচেতনতা ও পরিমিতিবোধের সহিত ব্যবহৃত হইবে। প্রেক্ষিত ছাড়াও একটা ভালো শব্দ আছে – ভাষ্য, যাকে বাংলায় বলে ন্যারেটিভ। প্রবন্ধটিতে কতবার ন্যারেটিভ শব্দটি রয়েছে সেটাও একটা দেখার বিষয়। যে লেখায় যত বেশিবার ন্যারেটিভ থাকে সে লেখা তত প্রগতিশীল বলে গণ্য হয়।

সমস্ত মতামত ব্যক্তিগত, অতএব সবার ভাবাবেগে আঘাত লাগবে এই আশা রাখতে পারি।

এযাবৎকাল অবধি বাংলাভাষায় মোটমাট তিন কি চারটি সিনেমা তৈরি হয়েছে, বাকি সব খাজা হয়েছে। সেগুলো সিনেমা হয়েছে সেগুলির সাথে শুধু হলিউড কেন, বিশ্বসংসারের কোনো প্রজাতির সিনেমার সাথেই কোনো তুলনা হয় না। সে সিনেমাগুলি এই আলোচনার বিষয়-বহির্ভূত। এখানে মূলত খাজাগুলির সাথে হলিউডের একটি তুলনামূলক আলোচনার চেষ্টা চালানো হয়েছে। পরবর্তী অংশ থেকে ‘বাংলা সিনেমা’ বা ‘টলিউড’ বলতে এই খাজাগুলিকেই বোঝানো হবে।

ভ্যানতাড়া না করে আসল কথায় আসি। লেখাটা কিছুই যে আসলে হয়নি সেটা সবাই জানেন। সিনেমা নিয়ে আলোচনাগুলো যেমন বাল্যখিল্য হয়ে থাকে আরকি – যা হোক কিছু একটা লিখে দিলেই চলে, কেউ তো বুঝবে না কিছু – এটাও সেরমই।

প্রথমে প্লটের কথায় আসা যাক। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা চলচ্চিত্র প্লটের অভিনবত্বের দিক থেকে নিজেকে এমন এক এভারেস্টতুল্য উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে গেছে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। হলিউডকে ধরে ফেলেছে বহুদিন আগেই, এখন পালা এসেছে ছাপিয়ে যাওয়ার। ক্ষেত্রও প্রস্তুত। পরাবাস্তব, অতিবাস্তব, অতিপরাবাস্তব, অসাধারণ, অবর্ণনীয়, অকল্পনীয়, অসিরিয়াস অখাদ্য প্রভৃতি যতরকম বিষয় হয় – সবকছুর উপর চলচ্চিত্র হচ্ছে বাংলায়, আর কিছুকিছু ক্ষেত্রে প্লটলাইন ঈর্ষণীয়ভাবে চমৎকার। কিছু নমুনা দিই –
ট্রেন আক্সিন্ডেন্ট না হওয়ার ফলে একটি ট্র‍্যাশের জন্ম (প্রাক্তন)
বেসুরো গলায় গান গাওয়ার সময় গুলি খেয়ে মরণ (চতুষ্কোণ)
ভারতবর্ষে ডিভোর্সে বয়সসীমা না থাকার কুফল (বেলাশেষে)
রাতের বেলা অসময়ে চা খেয়ে ন্যালাখ্যাপার মৃত্যু (বাইশে শ্রাবণ)
প্রভৃতি
শেষোক্ত দুটি সিনেমা যথাক্রমে সমাজ ও স্বাস্থ্যসচেতনমূলক। কোনোকিছুই এগুলির সাথে তুলনায় আসে না। যেসব হলিউডি প্লট এইসব ব্যতিক্রমী ধারণার কিছুমাত্র ধারেকাছে গেছে, তারা সংখ্যায় অতি নগণ্য। যথা –
স্বপ্নদোষের ফলে ঘরছাড়া ও পরে তার সাহায্যেই ঘরে ফেরা (ইন্সেপশন)
ঘরে ফুলঝাড়ু প্রভৃতির আধিক্যের ফলে সেগুলির বড়লোকি অপব্যবহার (ফিফটি শেডস অফ গ্রে)
বলিউড কিছুটা চেষ্টা করেছিল এই অভিনবত্ব আনার (যেমন কলকাতায় লোকে কেবল হাগতেই আসে (পিকু)), কিন্তু সেসবের মধ্যে প্রাদেশিকতার ছাপ এতটাই উগ্র যে বাঙালি মরেই গেল। এখানে বাংলা সিনেমা এক গোলে এগিয়ে রইল।

আগের প্যারায় একটাও প্রেক্ষিত বা ন্যারেটিভ আসেনি, সেটা এই অংশে উশুল করে নেওয়া হবে। ন্যারেটিভের পাঠ খুব গুরুত্বপূর্ণ বাংলা সিনেমার প্রেক্ষিতে। প্রথমে ধরা যাক রাজ চক্রবর্তী ঘরানার সিনেমাগুলির কথা। সিনেমা চলাকালীন সারাক্ষণ দর্শকের উদ্দেশ্যে কেউ যেন প্রশ্ন করেই চলছে। তুমি এখনও দেখছ এটা ?… এরপরেও নেওয়া যাচ্ছে?… অ্যাঁ ? এখনও সহ্য হচ্ছে ?… বলো কী হে, তুমি ভগবান তো… শেষ করে ফেললে সিনেমাটা ?… বেঁচে আছো… কী ভয়ানক ! আচ্ছা একটা সিকুয়েল বানিয়ে ফেলি তবে। এই যে নেপথ্য সম্ভাষন, একে সেকেন্ড পার্সন ন্যারাটিভের পর্যায়ে ফেলা যায়।

অরিন্দম শীল প্রমুখদের সিনেমা কোয়েস্ট ন্যারেটিভ। সিনেমায় সব চরিত্রের একটিই আল্টিমেট উদ্দেশ্য থাকে, সেটি হল হরিবোল করা। সিনেমার শেষে সবার সেই লক্ষ্য পূরণ হয়, এবং হ্যাপি এন্ডিং।

Still

সন্দিপ্রায়ের সিনেমা অনুসরণ করে অল্টারনেটিং পার্সন ন্যারেটিভ । আমি কী বলছি, ফেলুদা কী বলেছে, এই প্রেক্ষিতে আমার বাবা কী বলেছে, কী কী না বললেও হত, সিনেমাটা কেন বানালাম – প্রভৃতি অজস্র প্রকার দৃষ্টিকোণ মিলেমিশে যায় সিনেমাগুলিতে। ফটিকচাঁদের টাইটেল-কার্ড দেখলে এই অল্টারনেটিং চরিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে পরিচালকের নাম বাংলায় লেখা সন্দীপ রায়, আর ইংরেজিতে সেটা হয়ে ওঠে সত্যজিৎ রায়।

Still

নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ছবির বৈশিষ্ট্য হল আনরিয়ালেবেল ভয়েস। কে যে সত্যি বলছে, কে গুল মেরে চলে যাচ্ছে কিছুই বোঝা যায় না। অর্ধেক লোকে বলে দারুণ সিনেমা, বাকি অর্ধেকে বলে খাজা কাঁঠাল। বিশেষ করে আজকের সময়ে, যখন কিনা সিনেমা দেখে ভালোমন্দ কিছুই বোঝা যায় না, লোকে কে কী বলছে সেটা শুনেই বুঝতে হয়, এমত পরিস্থিতিতে এইসব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও পরস্পরবিরোধী কথাবার্তার মধ্যে পড়ে দর্শকের খুব চাপ হয়ে যায়। এই প্রেক্ষিতে বলাই যায় বর্তমানকালের শ্রেষ্ঠ জটিল-মনস্ত্বত্বমূলক সিনেমা নন্দিতা-শিবপ্রসাদই বানিয়ে থাকেন। আমার পক্ষ থেকে স্যালুট। হলিউড সিনেমায় আর ন্যারেটিভ কোথায় ! ধুরধুর ! সেই এক গতের নন-লিনিয়ার আর ধুমধাড়াক্কা ধাঁচে ফেলেই সবকিছু চলছে। বাংলা সিনেমা ভ্যারাইটি দিয়েই এসবকে উড়িয়ে দেবে। টলিউড দুই, হলিউড শূন্য।

Still

হলিউডের চলচ্চিত্রগুলিতে সমসাময়িক যুগের সমাজব্যবস্থা ও নগর-পরিকল্পনা খুব সুন্দর ভাবে প্রজেক্টেড হয়েছে, যা কিনা বাংলা সিনেমার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। যেমন ধরা যাক হিচককের সিনেমাগুলির কথা। তৎকালীন সময়ে আমেরিকার ঘরবাড়ির সুরক্ষাব্যবস্থা কতটা ঢিলেঢালা ছিল সে নিয়ে আক্ষেপ পরতে পরতে ফুটে উঠেছে। যে যখন খুশি যার-তার ঘরে ঢুকে পড়ছে। চাবি-টাবির বালাই নেই। পাঁচিল ডিঙিয়ে, দেওয়াল বেয়ে, জানালা গলে সে যা তা কাণ্ড। এতেও রক্ষে নেই। অকর্মণ্য লোকজন অন্যের বাড়ির দিকে দুরবীণ তাক করে সারাদিন ধরে বসে আছে, চাঁদ-তারা দেখছে। প্রাইভেসির একশো আট। এসব অত্যন্ত অন্যায়। বাংলা সিনেমা এসব দেখে দেখেই বখে গেল। তবে একটু আশার কথা। জলের পাইপ বেয়ে বা জানালা গলে ঘরে ঢুকে পড়ার ছেলেমানুষি স্টেজ কাটিয়ে বাংলা সিনেমা এখন সাবালক হয়েছে। টেকনিক্যাল জিনিয়াসে ভরে গেছে । তারা দেওয়াল ডিঙ্গানোর পরিশ্রম করে না, পরিবর্তে ঘরে ঢুকে স্পাইক্যাম প্রভৃতি লাগিয়ে দেয়। যুগ এগিয়ে চলেছে।

সুপারহিরোদের নিয়ে হলিউডে বাড়াবাড়ি করা হয় অত্যধিক, তবে বাংলা সিনেমা যেমনটি দেখিয়ে গেছে তাকে কেউ ছাপিয়ে যেতে পারবে না। প্রতিটি চরিত্র সুপার-হিউম্যান। এক সময় রঞ্জিত মল্লিক ডাক্তার হতেন। স্যালাইন দিয়ে ক্যান্সার সারাতেন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের জন্য একটা চুল কাটার কাঁচিই যথেষ্ট। চড়-চাপড় বেল্ট-ফেল্ট মেরে বদলোকেদের ভালমানুষ করে দিতেন। মনে পড়ে গেল সেই আধিদৈবিক মারপিটগুলির কথা। ওয়ান ভার্সেস ওয়ান ফাইট খুব অনিশ্চিত, কে জিতবে বলা যেত না। সুপারপাওয়ারের সাথে রাজনীতির এই মিহি মিশেল যেকোনো হলিউড সিনেমার সাথে পাল্লা দিতে পারে। তবে একটা হতাশার কথা বলে এই প্রসঙ্গে ইতি টানবো। টলিউডের অধিকাংশ কুশলীর প্রকৃত সুপারপাওয়ারগুলি কখনোই সেভাবে প্রচারের আলোতে নিয়ে আসা হয়নি। নইলে সন্দিপ্রায়ের ডিরেকশনে অভিনয় করার সাহস দেখানো, বা দেবের সাথে একই সিনেমায় কাজ করা – এগুলি কী কম অতিমানবীয় ব্যাপার ! কিন্তু এগুলি সেই গোপনেই রয়ে গেল, কেউ স্বীকৃতি দিল না একটুও। এইসব সুপারপাওয়ার যথাযথভাবে হাইলাইটেড না হওয়ার কারণে বাংলা সিনেমা এই জঁরে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।

সংগীতের ব্যবহার আরেকটি বড়সড় ফ্যাক্টর, যেটি বাংলা চলচ্চিত্রকে অনেকেটাই এগিয়ে দিয়েছে হলিউডের তুলনায়। হলিউডে বাস্তব থেকে সামান্য বিচ্যুতির ক্ষেত্রে, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে স্টেজ সাজিয়ে, প্ল্যান করে চিত্রকল্প বানিয়ে, ক্যামেরা মারিয়ে, স্পেশাল এফেক্টস এনে জটিল সব শুট হয়; ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর সেখানে নিয়ে আসে আবেগ। সেখানে টলিউডের ব্যাপারটাই আলাদা। একটি সিচুয়েশন ভাবা যাক। ধাপার মাঠ থেকে একটি স্ক্রিপ্ট তুলে আনা হয়েছে (সাধারণত ওখান থেকেই আনা হয়), সেই স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী অভিনয় চলছে। মোস্ট প্রবাব্লি কোনো একটি সাংসারিক দৃশ্য। দারুণ সব আবেগ-টাবেগের ব্যাপার। ব্যাকগ্রাউন্ডে কীরকম গান বাজছে ? –

“আমরা হেঁটে গেছি। পেয়ারাতলায় বাজ পড়েছে। তালগাছের নীচে ওই দেখা যায় কচ্ছপ। কেউ নেই কেউ নেই”

অথবা এইরকম-

‘সুড়ঙ্গের মুখ চেয়ে কপালে চুল সে চলে গেল যেন মিনারেল ওয়াটারের বোতলের ছিপি হারিয়ে বিছানায় সব উল্টে গেল জানালা খোলা, ওরেবাবারে’

বা ধরো এমনি –

“সর্ষে পাতার সবুজ এনে দেব আর দরজার গ্রিল আর রেলিংয়ের ফাঁকে ওই যে ভ্রমর আর রূপকথা মাঝে মাঝে এসে যায় বোলতা, উফ ল্যাজে দিল কামড়ে” ।

ব্যাস ! মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু পরাবাস্তবে পরিণত হয়ে গেল। স্রেফ গান দিয়েই । সংগীতের জোরে বাস্তব থেকে এত বিচ্যুতি আর কোনো ভাষার সিনেমায় সম্ভব না। বাংলা সিনিমায় সারিয়েলিজম প্রভৃতি আনতে স্টেজ ডিজাইন বা ক্যামেরা ক্যালানি কিছুর দরকার নেই। জব্বর কয়েকটা লিরিক্স দিয়েই কাজ হয়ে যায়। প্রোডাক্টশন খরচ কমে একেবারে শূন্য। বাংলা সিনেমা তিন, হলিউড স্টিল জিরো।

Still

সিনেমায় স্পেশাল এফেক্টসের ব্যবহার নিয়ে কিছু কথা বলেই এই প্রবন্ধ শেষ করবো। বলতে দ্বিধা নেই এদিক থেকে বাংলা সিনেমা অনেকটাই পিছিয়ে আছে হলিউডের চেয়ে। স্বাভাবিক ব্যাপার। অত টাকা কোথায় ! তবে চেষ্টার ত্রুটি নেই। সাধ্যের মধ্যে থেকে কিছু অপার্থিব পর্যায়ের কাজ হচ্ছে আজকাল। পোস্তর কাঠবিড়ালি ও জোনাকি এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য। বা ধরা যাক চাঁদের পাহাড়ের বুনিপ। শোনা যায়, কমলেশ্বরের মেঘে ঢাকা তারা গোটাটাই, ডিরেক্টর থেকে দর্শক অবধি সবকিছুই, স্পেশাল এফেক্টস দিয়ে বানানো। আর আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য জুলফিকারে কৌশিক সেনের পশ্চাৎকণ্ঠী ভয়েস! আহা ! কোন যন্তর দিয়ে যে এরকম সাউন্ড এফেক্ট আনা যায় তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলে। এসব কিছু হিসেবের মধ্যে এনেও বলতে হচ্ছে, বাস্তব কিছু কাজে স্পেশাল এফেক্টস ঠিকঠাকভাবে প্রয়োগ করতে এখনও হাজার তিনেক বছর লাগবে বাংলা সিনেমার। ততদিন নাহয় ওই কম্পিউটার গ্রাফিক্সে বাঘ আর মুর্গির লড়াই বানিয়েই কাজ চালানো যাক।

ডিরেকশন, অভিনয়, সিনেমাটোগ্রাফি, সম্পাদনা প্রভৃতি নিয়ে জায়গা নষ্ট করে বিশেষ লাভ নেই। এসব তুচ্ছ বিষয় বাংলা চলচ্চিত্রে সেরকমভাবে পাত্তা পায় না। এগুলি বাদ দিয়ে অপারাপর সব গুরুতর বিষয়সমূহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হল। আর আমি যেহেতু তিন-চারখানি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছি এবং তার মধ্যে পাঁচখানি সিনেমা অস্কার ভারতরত্ন প্রভৃতি সবকিছু পেয়ে গেছে, তাই এই আশা রাখতেই পারি আমার মতামত সবাই গুরুত্ব সহকারে নেবেন। ধন্যবাদ সকলকে।

পুনশ্চঃ প্রেক্ষিত প্রেক্ষিত প্রেক্ষিত। এগারোখানা সম্পূর্ণ হল। আমি কথা রেখেছি।

-বিশ্বেশ্বর পালিত